নড়াইলে লোহাগড়ার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মিরাজ ফকিরের ওপর হামলায় হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, এ সময় সারুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মিরাজুল ইসলাম ফকির, তার ভাই ইমরান ফকির এবং একই গ্রামের বাবুল শরিফ বসে ছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ধারালো অস্ত্রের কোপে মিরাজুল ইসলাম ফকিরের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া সাথে থাকা ইমরান ফকির ও বাবুল শরীফকেও কুপিয়ে যখম করে দুর্বৃত্তরা পালিয়া যায়। পরে আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর জড়িতরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, সারুলিয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম মিন্টুকে ২২ এপ্রিল মধ্যরাতে যশোর মুড়লী মোড়ে অবস্থিত তার বাড়ি থেকে, তার বড় ভাই সাজ্জাদুর রহমান কচিকে পরদিন রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহআলম রনির বাড়ি থেকে এবং একই গ্রামের কাজী মিজানুর রহমানের ছেলে লিটন কাজীকে লোহাগড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের আরেকটি দল ২৪ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সারুলিয়া গ্রামের বাদশা কাজী ও তার ছেলে কাজী অনিক রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/জেএম